মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

তিনি বলেছেন, ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্রর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

 

আজ বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।

 

ড. ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’-এর মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে টেকসই করতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য যে সব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, তার অন্যতম হলো সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

 

বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু-স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য খাতে নানাবিধ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

বাণীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং যথাযথ ও সময়োচিত হয়েছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

একই সাথে তিনি এ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভোট জালিয়াতি করে ২৯৩ আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শেখ মুজিব: তুষার

» পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না: গোলাম পাওয়ার

» বিএনপির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোনাফেকদের চিহ্নিত করে রাখুন: আলতাফ হোসেন

» শেখ মুজিবের শাসন হাসিনার চেয়েও ভয়ংকর ছিল: রাশেদ খান

» শেখ হাসিনা না পালালে আমাদের কবর রচনা হতো: হান্নান মাসউদ

» সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল: আব্দুল হালিম

» শেখ মুজিব জাতির জনক নন, তবে তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ ইসলাম

» জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

» ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তি নেই বিলম্বিত করবে : প্রেস সচিব

» খালেদা জিয়ার জন্মদিনে ফুল পাঠালেন প্রধান উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

তিনি বলেছেন, ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্রর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

 

আজ বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।

 

ড. ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’-এর মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে টেকসই করতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য যে সব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, তার অন্যতম হলো সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

 

বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু-স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য খাতে নানাবিধ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

বাণীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং যথাযথ ও সময়োচিত হয়েছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

একই সাথে তিনি এ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com